Tax

করমুক্ত সীমা ৩ লাখ এবং কর হার ৫% দিয়ে শুরু, কর কমবে অর্ধেকেরও বেশি!

May 20, 2020
Tax Save

করমুক্ত সীমা ২.৫ লাখ টাকা থেকে বেড়ে ৩ লাখ টাকা হতে পারে। এবং আগামী ২০২০-২১ কর বর্ষের কর হার ১০% থেকে কমে ৫% দিয়ে শুরু হতে পারে।

অর্থাৎ, বর্তমানে একজন করদাতার করযোগ্য আয় যদি ২.৫ লাখ টাকার উপরে যায়, তাহলে প্রথমে তার উপর ১০% হারে কর গণনা শুরু করতে হয়। যদি আগামি বাজেটে, এটা ৫%-এ নেমে আসে তাহলে কর গণনা শুরু হবে ১০% এর স্থানে ৫% থেকে। এর ফলে শুরুতেই একজন করদাতার কর অর্ধেক কমে যাবে। এটা বড় একটা আর্থিক সুবিধা দিবে।

একজন ব্যাক্তি করদাতা কিভাবে কর গণনা করে রিটার্ন তৈরি করবেন তার উপর আমাদের অনলাইন ট্যাক্স কোর্স রয়েছে। খুবই অল্প খরচে সেরা ভিডিও টিউটরিয়ালের সাথে পাচ্ছেন, কর গণানা এবং রিটার্ন ফরমের এক্সেল সফট কপি।

আপনি এখনই কোর্স ফি পরিশোধ করে আপনার পছন্দের ট্যাক্স কোর্স শুরু করতে পারবেন। কোন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। এবং আপনি যেদিন কোর্স কিনবেন সেদিন থেকে টানা ১৫ দিন যতোবার খুশি ততোবার দেখার সুযোগ পাবেন!

গত কয়েক বছর ধরেই করমুক্ত সীমা বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা করার দাবি করা হচ্ছিলো। কিন্তু বাজেট পাস হলে প্রতিবারই ব্যক্তি করদাতারা হতাশ হয়েছেন।

শেষ পর্যন্ত যদি এই দুইটি সুবিধা দেওয়া হয় এবং এর সাথে ধরে নিলাম ব্যক্তি করদাতারা গত বছর করযোগ্য আয় এবং করদায় নির্ণয় করতে যে সুবিধা পেয়েছেন তা অপরিবর্তিত থাকবে তাহলে করের বোঝা কমবে অর্ধেকের বেশি। আপনার কর কতো কমবে তা নিচের ভিডিওটি দেখে জেনে নিতে পারেন।

তবে করযোগ্য আয়ের উপর ভিত্তি করে আপনার করের পরিমান কমতে বা বাড়তে পারে। সবকিছুই নির্ভর করছে, আগামি বাজেটের উপর। করমুক্ত সীমা ৩ লাখ টাকা হবে না কম হবে আবার করের হার কমে ৫% হবে নাকি ৭.৫% বা ১০%-এ রয়ে যাবে তা দেখার জন্য আমাদের ১১ জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কারন, ঐ দিনই জাতীয় সংসদে বাজেট পেস হবে।

করোনার মধ্যে যখন মানুষের আয় সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে তখন এই দুইটি সংবাদ করদাতাদেরকে আশার আলো দেখাবে। সরকার যদি ১১ জুন-এ সত্যিই এই সুযোগ রেখে বাজেট উত্থাপন করে তাহলে ব্যক্তি করদাতাদের সন্তুষ্টি অর্জন করবে এতে কোন সন্দেহ নেই।

তবে সংবাদ মাধ্যম অর্থ মন্তণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে আরো আবাশ পেয়েছে, কর্পোরেট সেক্টরেও করের হার কমবে। সব কিছুতেই স্থবিরতা চলছে। সবাইকেই কম-বেশি সুবিধা দেওয়ার জন্য চেষ্ঠা করা হবে বলে মনে হচ্ছে।

পত্রিকার খবরে জানা গেছে, ১৭ মে ২০২০ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রধানমন্ত্রীর সাথে আগামি বাজেট নিয়ে বসেছিলেন। সেখানে বলা হয়েছে, সাধারণ মানুষের উপর যাতে প্রভাব না পড়ে।

যেহেতু সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশনা এসেছে তাই আশা করা যায় আগামী বাজেটে করদাতারা সুবিধা পাবেন।

আরেকটি বিষয় নিয়ে করদাতাদের মধ্যে চিন্তা রয়েছে। সেটা হলো কর রেয়াত পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট খাতে বিনিয়োগ। করযোগ্য আয়ের উপর ২৫% পর্যন্ত বিনিয়োগ দেখিয়ে কর রেয়াত পাওয়া যায়। যা একজন করদাতার করদায় বহুলাংশে হ্রাস করে থাকে। কোথায় বিনিয়োগ করলে কর রেয়াত পাওয়া যায় তা নিচের ভিডিও দেখে জেনে নিন।

কিন্তু এবার সমস্যাটা হলো করোনাভাইরাস নিয়ে। গত ২৬ মার্চ ২০২০ থেকে মানুষ কার্যত ঘরে বন্ধি। জরুরী দরকার ছাড়া বাইরে খুব কম মানুষই বেড় হয়েছেন। যারা কর রেয়াত পাওয়ার জন্য বিনিয়োগ করেন তারা সাধারনত বছরের শেষ দিকে এসে করে থাকেন। এবার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নাই বলে বিনিয়োগে সমস্যা হবে।

কবে এই বন্ধিদশা থেকে মানুষ মুক্তি পাবে তা এখন পর্যন্ত কেউ বলতে পারছেন না। ধরে নিলাম জুন মাস থেকে স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এবং তখন থেকে করদাতারা বিনিয়োগ করতে পারবেন।

তারপরেও সমস্যা থেকে যাবে। এপ্রিল মাসের বেতন মে মাসে এসে অনেকেই কম পেয়েছেন। কিছু ক্ষেত্রে ৭৫% আবার কিছু ক্ষেত্রে ৫০% বেতন পেয়েছেন। আবার কিছু ক্ষেত্রে বেতনই হয়তো পাননি। কেউ কেউ হারিয়েছেন চাকরি। ঈদ বোনাস তো দূরের কথা!

আয় কম হলেও সংসারের খরচ কিন্তু কমেনি। মানুষের যে জমানো টাকা ছিলো তা থেকে চলেছেন। আবার কেউ হয়তো ধার করেছেন। কোম্পানির যদি আয় না থাকে তাহলে তারাই বা কি করে বেতন-বোনাস দিবে, এটাও বিবেচনার বিষয়।

এমন অবস্থায় সব কিছু স্বভাবিক হয়ে গেলেও করদাতারা কর রেয়াত পাওয়ার জন্য বিনিয়োগ করতে পারবেন কিনা তা ভেবে দেখার বিষয়।

সব মিলিয়ে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে বাজেট উত্থাপন পর্যন্ত। কেবল তখনই আমরা জেনে যাবো, কি সুবিধা করদাতা হিসেব আগামি কর-বর্ষে পাওয়া যাবে।

You Might Also Like

No Comments

Leave a Reply

error: Content is protected !!