Tax

বিলম্ব সুদ দিয়ে ৩০ নভেম্বরের পরেও রিটার্ন জমা দিতে পারবেন

January 13, 2018
Late Return Submission Image

ব্যক্তি করদাতাকে কর দিবস এর মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হয়। গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে ৩০ নভেম্বর কর দিবস পালিত হয়ে আসছে। এবং এই দিনই হলো ব্যক্তি করদাতার রিটার্ন জমা দেয়ার শেষ দিন।

একজন ব্যাক্তি করদাতা কিভাবে কর গণনা করে রিটার্ন তৈরি করবেন তার উপর আমাদের অনলাইন ট্যাক্স কোর্স রয়েছে। খুবই অল্প খরচে সেরা ভিডিও টিউটরিয়ালের সাথে পাচ্ছেন, কর গণানা এবং রিটার্ন ফরমের এক্সেল সফট কপি।

আপনি এখনই কোর্স ফি পরিশোধ করে আপনার পছন্দের ট্যাক্স কোর্স শুরু করতে পারবেন। কোন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। এবং আপনি যেদিন কোর্স কিনবেন সেদিন থেকে টানা ১৫ দিন যতোবার খুশি ততোবার দেখার সুযোগ পাবেন!

৩০ নভেম্বরের মধ্যে রিটার্ন দাখিল সম্ভব না হলে সময় বাড়ানোর জন্য নির্ধারিত ফর্মে উপযুক্ত কারন উল্লেখ করে উপ কর কমিশনারের কাছে সময়ের আবেদন করতে পারেন।

উপ কর কমিশনার সন্তুষ্ট হলে আপনার সময় বৃদ্ধি করতে পারেন। তবে সময় বৃদ্ধি করলেও আপনাকে সেই অতিরিক্ত সময়ের জন্য বিলম্ব সুদ দিতে হবে।

সময় বৃদ্ধির ফর্মে কি থাকে

সময় বৃদ্ধির আবেদন ফর্মে দুইটি অংশ থাকে। একটি অংশ করদাতার জন্য। এবং একই তথ্যের আরেকটি অংশ কর কর্মকর্তার জন্য।

খুবই অল্প তথ্য দিতে হয়। মাত্র এক পাথার এই ফর্মে করদাতার নাম, ঠিকানা, টিন নাম্বার, সার্কেল, কর অঞ্চল, কত দিন সময় বৃধির জন্য চান, সময় বৃদ্ধির কারন ইত্যাদি।

তার নিচে নাম লিখে স্বাক্ষরের স্থান এবং তারিখ লিখে স্বাক্ষর প্রদান করতে হয়।

এর নিচে কত দিন সময় বৃদ্ধি করা হলো তা লিখে কর অফিসের অন্তর্ভূক্তি নাম্বার লিখে উপ কর কমিশনারের স্বাক্ষর এবং সীল দিয়ে করদাতাকে তার অংশ ফেরত দিয়ে আরেকটি অংশ কর অফিস রেখে দেয়।

কতো বিলম্ব ফি দিতে হয়

কর দিবস অর্থাৎ ৩০ নভেম্বরের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে ব্যর্থ হলে করদাতাকে মাসিক ২% বিলম্ব সুদ দিতে হয়। এই সুদ করদাতা উপ কর কমিশনারের নিকট হতে রিটার্ন দাখলের জন্য সময় নিলেও বিলম্ব সুদ পরিশোধ করতে হয়।

বিলম্ব সুদ গণনা করা হয় মোট কর দায় থেকে উতস করসহ অগ্রিম কর বাদ দিয়ে যে নীট কর দায় থাকে তার উপর। এবং কর দিবসের পরের দিন অর্থাৎ ০১ ডিসেম্বর থেকে যে দিন রিটার্ন দাখিল করা হয়েছে সেদিন পর্যন্ত।

কিভাবে বিলম্ব সুদ হিসেব করবেন

৩০ জুন ২০১৭ সমাপ্ত আয় বছরে মি হাসানের মোট করযোগ্য আয় ৫,০০,০০০ টাকা। তিনি ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ৫,০০০ টাকা উৎস কর প্রদান করেছেন।

মি হাসান আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য সময়ের আবেদন করলে উপ কর কমিশনার দুই মাস সময় মঞ্জুর করেন। সে মুতাবেক তিনি ৩১ জানুয়ারি ২০১৮ তার আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন।

আমরা জেনে গেলাম যাবতীয় তথ্য। এবার চলুন জেনে নেই মি হাসানের বিলম্ব সুদ কতো এবং তিনি ৩১ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে রিটার্ন দাখিল করার সময় আর কতো টাকা দিতে হবে।

ধরে নিলাম, মি হাসানের করমুক্ত সীমা ২,৫০,০০০ টাকা। তাহলে বাকি ২,৫০,০০০ টাকার উপর ১০% হিসেবে করের পরিমান হবে ২৫,০০০ টাকা।

তিনি উৎসে কর দিয়েছেন ৫,০০০ টাকা। তাহলে বাকি থাকলো ২০,০০০ টাকা। মি হাসানকে এই টাকার উপর দুই মাসের বিলম্ব ফি দিতে হবে।

দুই মাসে ২% করে ২০,০০০ টাকার উপর সুদ হবে ৮০০ (২০,০০০*২%*২) টাকা। এখন তাকে রিটার্ন দাখিউলের সময় মোট দিতে হবে ২০,৮০০ (২০,০০০+৮০০) টাকা।

এই টাকা তিনি রিটার্ন দাখিলের সময় পে অর্ডার/চালান/ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে দিতে পারবেন।

লেখাটি bdnews24.com-এ ২৭ নভেম্বর ২০১৭ প্রকাশিত হয়েছে।

You Might Also Like

error: Content is protected !!