Tax

একজন শিক্ষক কিভাবে আয় ও কর গণনা করবেন?

June 1, 2019
Teacher's Tax Calculation

একজন শিক্ষক চাকরির পাশাপাশি প্রাইভেট টিউশনী করেন। তাই চাকরি করে যে আয় করেন তাসহ টিউশনী থেকে আয়ের উপরও কর দিতে হয়। কিন্তু কিভাবে তিনি আয় ও কর নির্ণয় করবেন?

আপনি যদি শিক্ষকতা করেন তাহলে আপনি চাকরি করে যে আয় করেন তা থেকে করযোগ্য আয় বের করবেন। বাড়ি ভাড়া ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, যাতায়াত ভাতা ইত্যাদি খাতে আয়কর আইন অনুযায়ী ছাড় রয়েছে। সেগুলো বাদ দিয়ে করযোগ্য আয় বের করতে হবে।

একজন ব্যাক্তি করদাতা কিভাবে কর গণনা করে রিটার্ন তৈরি করবেন তার উপর আমাদের অনলাইন ট্যাক্স কোর্স রয়েছে। খুবই অল্প খরচে সেরা ভিডিও টিউটরিয়ালের সাথে পাচ্ছেন, কর গণানা এবং রিটার্ন ফরমের এক্সেল সফট কপি।

আপনি এখনই কোর্স ফি পরিশোধ করে আপনার পছন্দের ট্যাক্স কোর্স শুরু করতে পারবেন। কোন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। এবং আপনি যেদিন কোর্স কিনবেন সেদিন থেকে টানা ১৫ দিন যতোবার খুশি ততোবার দেখার সুযোগ পাবেন!

তবে সরকারি এবং বেসরকারি শিক্ষকের বেতন থেকে করযোগ্য আয় বের করার নিয়ম সম্পূর্ণ আলাদা। সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে করের আওতা অনেক কম। এজন্য তাদের আয়কর গণনা করাও অনেকটা সহজ।

চাকরি থেকে করযোগ্য আয় বের করা হয়ে গেলে প্রাইভেট টিউশনী থেকে সারা বছর ধরে যে আয় হয় তাই আপনার করযোগ্য আয়।

আপনি যদি নিজের বাসায় টিউশনী করেন তাহলে আপনার আয় থেকে কিছু বাদ যাবে না। অর্থাৎ আপনি ছাত্র পড়িয়ে যা পেয়েছেন তার সবটার উপরেই আপনাকে ট্যাক্স দিতে হবে।

আপনি যদি বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে টিউশনী করান এবং সেখানে অফিস সহকারি থাকে তাহলে তার খরচ বাদ দিয়ে করযোগ্য আয় বের করবেন।

এবার চাকরি এবং প্রাইভেট টিউশনী থেকে করযোগ্য আয় যোগ করে মোট করযোগ্য আয় বের করবেন। এর উপর ধাপ অনুযায়ী কর দায় বের করতে হবে।

আপনি যদি পুরুষ করদাতা হন এবং বয়স যদি ৬৫ বছরের নিচে হয় তাহলে ২৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত। তারপর থেকে নির্দিষ্ট কর হার ধাপ অনুযায়ী ব্যবহার করে মোট কর দায় বের করবেন।

মোট কর দায় বের হয়ে গেলে আপনি এ থেকে কর রেয়াত বাদ দিবেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কিছু খাত বলে দিয়েছে যেগুলোতে বিনিয়োগ করলে বা অনুদান দিলে কর রেয়াত পাওয়া যায়।

আপনি যদি উল্লেখিত খাতে বিনিয়োগ বা অনুদান না করেন তাহলে আপনার কর দায় কমবে না।

এরপর আপনার আয় থেকে যদি কোথাও উৎসে কর কর্তন করা হয়ে থাকে তাহলে তা বাদ দিয়ে নীট কর দায় বের করতে হবে। এই নীট কর দায় আপনি যখন রিটার্ন জমা দিবেন তখন পে-অর্ডার/চালান/চেক এর মাধ্যমে জমা দিতে পারবেন। সাথে অন্যান্য দরকারি কাগজপত্র জমা দিলেই আপনার আয়কর রিটার্ন দাখিল হয়ে যাবে।

You Might Also Like

error: Content is protected !!