Money

বিজ্ঞাপন যুদ্ধ এবং টেক স্ক্যান্ডাল

May 13, 2018
Facebook Scandal Image

স্কট গ্যালওয়ে ‘দি ফোরঃ দি হিডেন ডিএনএ অফ অ্যামাজন, অ্যাপল, ফেসবুক অ্যান্ড গুগল’ নামে একটি বই লিখেন। বইটিতে তিনি লিখেন, এই চার কোম্পানির মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন রাশিয়ার জিডিপি যা ১.৪ ট্রিলিয়ন ডলারের সমান। আর এটা এই অবস্থায় এসে দাড়িয়েছে মাত্র ২০১৩ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে। এবং ধারনা করা হচ্ছে চলতি বছরে তা ইন্ডিয়ার জিডিপি-কে ছাড়িয়ে যাবে।

কিন্তু এই চার টেক জায়ান্টের মধ্যে শেষ দুই কোম্পানি গত কয়েক মাসের মধ্যে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যামব্রিজ-এর শিক্ষক অ্যালেকজান্ডার কোগান ২০১৪ সালে ফেসবুক-এ এক কুইজ চালু করে ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করেন। পরে ২০১৬ সালে এই তথ্য অপব্যবহার করা হয় ট্রাম্পের নির্বাচনী কাজে। আর এ কাজে সহায়তা করে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা।

এখন পর্যন্ত ফেসবুক বা ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা কেউই এই তথ্য পাচার হওয়ার কোন দায় স্বীকার করেনি। তবে ইতোমধ্যেই ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা জাকারবার্গ ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু তার ক্ষমা চাওয়াতে কোন কাজে আসেনি। তথ্য অপব্যবহারের জন্য তাকে এখন কংগ্রেস জুরি বোর্ডের সামনে উপস্থিত হয়ে জবাব দিতে হচ্ছে।

ব্রিটিশ টেলিভিশন চ্যানেল ৪ তাদের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ফেসবুক ব্যবহারকারিদের তথ্য অপব্যবহার করার বিষয়টি উঠে আসে। এই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কুইজে অংশ নিয়েছিলো ২.৭ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারী। এর বাইরে তাদের বন্ধুদের তথ্যও সংগ্রহ করা হয়। সব মিলিয়ে প্রায় পাচ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারির তথ্য চলে যায় কুইজ সংগ্রহকারীর হাতে। যেটা পরে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা ট্রাম্পের নির্বাচনী কাজে ব্যবহার করে।

এই তথ্য বের হওয়ার পর আমাদের পাশের দেশ ইন্ডিয়াও সরব হয়। ইন্ডিয়ার তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবি শংকর প্রসাদ বলেন, তার দেশের নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্যও অপব্যবহার হয়েছে কিনা তা জানতে চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছেন ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকাকে। তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে জাকারবার্গকে ইন্ডিয়াতে ডাকা হবে।

এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার মূল সংস্থা স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশনস ল্যাবরেটরিজ ইন্ডিয়ার ওভলেনো বিজনেস ইন্টেলিজেন্সের (ওবিআই) ব্যবসায়িক অংশীদার। ওবিআই তাদের ওয়েবসাইটে ক্লাইণ্টের তালিকায় বিজেপি, কংগ্রেস-এর নাম উল্লেখ করেছিলো। ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার অপকর্মের খবর প্রকাশ হওয়ার পর ওবিআই তাদের ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেয়।

ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা আলেকজান্ডার কোগানকে ৮ লাখ ডলার দেয় তার এই কাজের জন্য। কিন্তু ফেসবুক কতো নিয়েছিলো তাদের ব্যবহারকারীদের তথ্য এবং তাদের প্লাটফর্ম ব্যবহার করে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য তা জানা যায় নি। আবার ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা ট্রাম্পের কাজে এই তথ্য ব্যবহার করে কতো নিয়েছিলো তাও জানা যায়নি।

এই কেলেঙ্কারির পর ফেসবুকে একটি কোলাজ দেখা যায় যেখানে উপরে জুলিয়ান অ্যাসেঞ্জ এবং নিচে জাকারবার্গ এর ছবি দিয়ে লেখা থাকতে দেখা যায় কেউ তথ্য বিনা টাকায় জনগণকে দিয়ে হয়ে যান ভিলেইন আর কেউ টাকার বিনিময়ে তথ্য বিক্রি করে হয়ে যান হিরো।

এই খবর যখন মিডিয়াতে তোলপাড় করছিলো তখন ফেসবুকের শেয়ার প্রাইস নিচের দিকে পড়ছিলো। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ফেসবুক শেয়ারের ৫৮ বিলিয়ন ডলার দর পতন হয়। শেয়ারের দাম ৬.৭৭% পড়ে যায়। এতে কোম্পানির ৩ হাজার ৬০০ কোটি ডলার দাম কমে যায়।

ফেসবুকে জাকারবার্গের শেয়ার ১৬ শতাংশ। ব্যক্তিগতভাবে তার সম্পদ ৫৫০ কোটি ডলার কমে ৬ হাজার ৯০০ কোটি ডলারে নেমে আসে। প্রতি শেয়ারের দর ১৭৬ ডলার থেকে ১৫৯ ডলারে নেমে আসাতে তার এই বিশাল অংকের ক্ষতি হয়। তার সাথে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন ফেসবুক শেয়ারে বিনিয়োগকারীরা। তবে এর ফলে বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় আন্দোলন করেছিলেন কিনা সে সম্পর্কিত কোন খবর মিডিয়াতে আসেনি।

মাত্র ১৯ বছর বয়সে ২০০৪ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমিটরিতে বসে ফেসবুক প্রতিষ্ঠা করেন জাকারবার্গ। বর্তমানে ২০০ কোটির বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে ফেসবুকে। ২০১৭ সালে ৪ হাজার ৭০ কোটি ডলার আয় করে ফেসবুক। এর বেশিভাগ আয়ই আসে অনলাইন বিজ্ঞাপন থেকে। অনলাইন বিজ্ঞাপনের ৬০ শতাংশ গুগল ও ফেসবুক কর্তৃপক্ষ পেয়ে থাকে।

কিন্তু বাংলাদেশে ফেসবুক, ইউটিউব, গুগল সমালোচনার মুখে পরে অন্য কারনে। বাংলাদেশ থেকে যে বিজ্ঞাপনগুলো এসব প্লাটফর্মে যায় সেখান থেকে বাংলাদেশের সরকার কোন ট্যাক্স পাচ্ছে না। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে-কে বিজ্ঞাপনের উপর উৎসে কর দিতে হয়। অর্থাৎ, কেউ যদি কোন মিডিয়াতে বিজ্ঞাপন দিতে চান তাহলে তিনি যে টাকার বিজ্ঞাপন দিবেন তার উপর নির্দিষ্ট হারে ট্যাক্স দিতে হবে।

বিপরীতে ফেসবুক, ইউটিউব, গুগল-এ যে বিজ্ঞাপন দেয়া হচ্ছে সেখান থেকে এই ধরনের কোন ট্যাক্স কাটা হচ্ছে না। এটার একটা কারন হলো, এই মাধ্যমগুলোতে যে কেউ নিজে নিজেই বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। কোন অ্যাজেন্টের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিতে হয় না বলে উৎসে কর দেয়ার বিষয়টি আসে না।

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে খুব সহজেই ইন্টারনেট-এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেয়া যায়। এই মাধ্যমগুলোতে বিজ্ঞাপন দেয়ার আরেকটা বড় সুবিধা হলো, স্পেসিফিক টার্গেট গ্রুপ। যেমন, আপনি একটি স্মার্ট ফোনের বিজ্ঞাপন যদি একটি পত্রিকায় দেন তাহলে এটা সব মানুষই দেখতে পাবে। ছোট-বড়, ধনী-গরিব সবাই। কিন্তু এই স্মার্ট ফোনটি সবার কেনার দরকার নেই। আবার সবচেয়ে বড় কথা হলো সবার সামর্থ নাও থাকতে পারে। তার মানে পত্রিকায় বিজ্ঞাপনটি যাদের দরকার নেই তাদের কাছেও চলে যাচ্ছে। বিজ্ঞাপনের জন্য যে খরচ হচ্ছে তা পূরাটা কাজে লাগছে না।

কিন্তু আপনি যদি ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেন তাহলে আপনি স্পেসিফিক গ্রুপ-কে টার্গেট করে বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে কেবল তাদের নিউজ ফিডেই সেই বিজ্ঞাপন দেখা যাবে যাদেরকে আপনি টার্গেট করতে চাচ্ছেন। অর্থাৎ, বয়স, লিঙ্গ, পেশা নির্দিষ্ট করে বিজ্ঞাপন দেয়া যাবে। এই অসাধ্য কাজটি তারা করে থাকে অ্যালগরিদমের সাহায্যে এবং এর ফলে বিজ্ঞাপন খরচ অনেক কমে গিয়েছে। আর অন্য দিকে বিজ্ঞাপনের টাকা সম্পূর্ণ কাজে লাগছে। এজন্য চিরাচরিত খাত থেকে অনলাইনভিত্তিক বিজ্ঞাপনের দিকে ঝুকছে বিজ্ঞাপনদাতারা। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, তাদের ডিজিটাল মিডিয়া অ্যাড ১০৩% বৃদ্ধি পেয়েছে।

আর এদিকে আমাদের দেশের প্রিন্টিং এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া বিজ্ঞাপন হারাচ্ছে। শুধু আমাদের দেশেই না, পশ্চিমা বিশ্বেও অনেক নামীদামী মিডিয়া বিজ্ঞাপনের অভাবে হয় মিডিয়া বন্ধ করে দিয়েছে নয় বিক্রি করে দিয়েছে।

ফেসবুক, গুগলসহ যে সোশ্যাল মিডিয়াতে বিজ্ঞাপন দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে তার উপর ট্যাক্স আরোপ করা হবে বলে খবর বেড়িয়েছে। এই খবর বের হওয়ার কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশের মিডিয়াগুলোর পক্ষ থেকে দাবি আসছিলো এই মাধ্যমগুলোর উপর ট্যাক্স ধার্য করার। এবং তার প্রেক্ষীতেই হাইকোর্ট এক রিট আবেদনের রায়ে ট্যাক্স ধার্য করার নির্দেশনা দেয়।

আমাদের দেশের যে প্রিন্টিং মিডিয়া আছে প্রথমে সেগুলোই ছিলো বিজ্ঞাপন প্রচারের প্রধান একটি মাধ্যম। কিন্তু অনলাইনের শক্তিশালী অবস্থানের পর তা চলে যায় অনলাইনভিত্তিক মিডিয়াগুলোতে। এতে করে প্রিন্টিং মিডিয়াতে বিজ্ঞাপন কমে যেতে থাকে এবং এক সময় অনেক কমে যায়।

সুপ্রিম কোর্টের ছয় আইনজীবী হাই কোর্টে এই রিট আদেবনটি করেন। তাদের মধ্যে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব বলেন, এ সুযোগে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে এদেশ থেকে কোট কোটি ডলার নিয়ে যাচ্ছে ইন্টারনেট সংশ্লিষ্ট বিশ্বের নামীদামি প্লাটফর্মগুলো। কিন্তু সরকার তার প্রাপ্য রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অথচ যুক্তরাজ্য, ইতালি, ফ্রান্সসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এখন এসব প্লাটফর্ম থেকে বিপুল পরিমান রাজস্ব আদায় করছে।

তিনি আরো বলেন, যারা বিজ্ঞাপন দিয়েছে তাদের সবার কাছে জানতে চান তারা কত টাকা, কিভাবে পাঠিয়েছে। গুগল ও ফেসবুককে জিজ্ঞেস করুন, বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন থেকে কিভাবে তারা অর্থ পেয়েছে।

এসব মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেওয়ার টাকা অবৈধ পথে যাচ্ছে বলে আগে থেকে তদারকির আহ্বান জানানো হচ্ছিলো।

এর আগে প্রাক-বাজেট আলোচনায় অর্থ মন্ত্রী বলেছিলেন, আমরা তাদের জিজ্ঞাসা করব, এই অর্থ কি স্বচ্ছতার সংগে পাঠানো হচ্ছে? তাদের যে আয়, তার ওপর কর বসাবো। এটা সবখানেই দিচ্ছে, এখানে দিচ্ছে না।

যাই হোক অনলাইনের যুগে বিজ্ঞাপন নিয়ে এর আগে ইউটিউবের প্যারেন্ট কোম্পানি গুগলকে নাজেহাল হতে হয়েছে। তখন অভিযোগ উঠেছিলো ইউটিউবে উগ্রবাদীদের ভিডিওর পাশে বিশ্বের সব নামি ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন দেখা যাচ্ছে। এরপর গুগল তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে। এই খবর আসার সাথে সাথে একে একে ঐ ব্র্যান্ডগুলো তাদের বিজ্ঞাপনগুলো ইউটিউব থেকে সরিয়ে নেয়।

কিন্তু তাদের যতোই সমালোচনা হোক তাদের দাপট যে খুব তাড়াতাড়ি কমছে না তা গ্যালওয়ে তার বইতে লিখেছেন। তার বই থেকে জানা যায়, আমেরিকাতে ৫১% মানুষ চার্চে যায়। ৪৪% মানুষের কাছে লাইসেন্স করা অস্ত্র রয়েছে। কিন্তু ৫২% আমেরিকান কোন না কোন কারনে অ্যামাজনে সার্চ করে। এতেই বুঝা যায়, এই টেক কোম্পানিগুলো কোথায় গিয়ে পৌছিয়েছে।

সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি সেটা হলো তাদের সেবা খবই সস্তা। কিছু ক্ষেত্রে বলতে গেলে একদমই নেই। যেমন, গুগলে যদি আপনি কোন কিছু সার্চ করেন তাহলে আপনাকে টাকা দিতে হবে না। বা ফেসবুকে আপনি যদি অ্যাকাউন্ট খোলেন তাহলেও আপনাকে টাকা দিতে হবে না। শধু দরকার আপনার মোবাইল বা পিসি-তে ইন্টারনেট কানেকশন। তাহলেই আপনি সারা দুনিয়ার সাথে কানেক্টেড হয়ে যাবেন।

তারা মানুষের খুব কাছাকাছি যেতে পেরেছে তাদের নির্দিষ্ট কিছু কাজের জন্য। যেমন, গুগল টার্গেট করেছে মানুষের জ্ঞানের প্রতি আগ্রহ। আর ফেসবুক টার্গেট করেছে মানুষের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে। এসব কারনেই এই তারা কাস্টমারদের মন জয় করতে পেরেছে।

এখন বাংলাদেশে কি হবে?

আপাতত প্রতিযোগিতার কারনে দাবি উঠেছে এই প্লাটফর্মগুলোতে যে বিজ্ঞাপন যাচ্ছে তার উপর নিয়ম অনুযায়ী উৎসে কর কাটার জন্য। এখন যেহেতু এই প্লাটফর্মগুলোতে যে কেউ চাইলেই বিজ্ঞাপন দিতে পারেন তাই উৎসে কর কাটা কিছুটা সমস্যা হতে পারে প্রথম দিকে। তবে এই প্লাটফর্মগুলোকে যদি ট্যাক্সের আওতায় আনা যায় তাহলে যখনই কোন বিজ্ঞাপনদাতা বিজ্ঞাপন দিতে যাবেন তখনই স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিজ্ঞাপন খরচের সাথে ট্যাক্স যোগ হয়ে যাবে। এবং সেই ট্যাক্স সরকারের কোষাগারে জমা হবে।

আর প্রথম দিকে যদি তারা এই প্রস্তাবে রাজি না হয় তাহলে যে ব্যাংকগুলো থেকে এই টাকা যাচ্ছে তাদেরকে নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে তারা টাকা পরিশোধের সময় উৎসে যেন কর কেটে রেখে এই প্লাটফর্মগুলোকে টাকা পরিশোধ করে। তাহলেই সরকার ট্যাক্স পেয়ে যাবে। এবং বড় অংকের আয় সরকারের বাড়বে।

এতো হলো সাময়িকভাবে মনকে বুঝানো। কিন্তু তাদের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা খুবই কঠিন।

তাহলে এর ভবিষ্যৎ কি?

এখন পর্যন্ত তাদের প্রতিযোগী নেই। নতুন অর্থাৎ পঞ্চম প্রতিযোগী আসতে হলে নতুন আইডিয়া নিয়ে আসতে হবে। তার আগ পর্যন্ত তাদের রাজত্ব থাকবেই।

এখন তারা যদি নিজেরা নিজেদের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতা করে তাহলে যে কেউ বাজার থেকে হারিয়ে যেতে পারে। যেমন, পণ্য খোজর ক্ষেত্রে গুগলের চেয়ে অ্যামাজনে খোজার সংখ্যা বেশি। যেখানে ৫৫% মানুষ অ্যামজনে খোজ করেন সেখানে তার বিপরীতে মাত্র ২৮% গুগলে খোজ করেন।

ভবিষ্যতে ব্যবসা-বাণিজ্য আমূল পরিবর্তন হবে তার পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে। চিরাচরিত ধ্যান-ধারনা বদলে যাবে।

এখন সহজ প্রশ্ন হলো, আপনি বই কিনতে বাসা থেকে বেড়িয়ে পাড়ার বইয়ের দোকানে যাবেন নাকি অ্যামাজনে অর্ডার দিবেন?

*লেখাটি সাপ্তাহিক বিপরীত স্রোত পত্রিকার ০১ মে ২০১৮ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে।

You Might Also Like

error: Content is protected !!