Tax

একাধিক বছর রিটার্ন দাখিল না করলে পুনরায় দাখিল করতে চাইলে কি করবেন?

September 17, 2018
Tax Return Failure Image

বর্তমান আয়কর আইন অনুযায়ী আপনার যদি করযোগ্য আয় ৩০০,০০০ টাকা অতিক্রম করে তাহলে আপনাকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এ আয়কর বিবরণী জমা দিতে হবে।

কিন্তু এর বাইরেও, আপনার আয় এই সীমা অতিক্রম না করলেও ১৮৪ ধারা অনুযায়ী আয়কর বিবরণী জমা দিতে হবে।

একজন ব্যাক্তি করদাতা কিভাবে কর গণনা করে রিটার্ন তৈরি করবেন তার উপর আমাদের অনলাইন ট্যাক্স কোর্স রয়েছে। খুবই অল্প খরচে সেরা ভিডিও টিউটরিয়ালের সাথে পাচ্ছেন, কর গণানা এবং রিটার্ন ফরমের এক্সেল সফট কপি।

আপনি এখনই কোর্স ফি পরিশোধ করে আপনার পছন্দের ট্যাক্স কোর্স শুরু করতে পারবেন। কোন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। এবং আপনি যেদিন কোর্স কিনবেন সেদিন থেকে টানা ১৫ দিন যতোবার খুশি ততোবার দেখার সুযোগ পাবেন!

আপনার যদি মাসিক মূল বেতন ১৬,০০০ টাকা হয় তাহলেই আপনাকে রিটার্ন দাখিল করতে হবে। এই ক্ষেত্রে আপনার করযোগ্য আয় ৩০০,০০০ টাকা অতিক্রম না করলেও আপনাকে রিটার্ন দাখিল করতে হবে।

এখন আপনি কোন কারনে হয়তো টিন নিয়েছেন এবং তারপর আয়কর রিটার্ন আপনার জন্য বাধ্যতামূলক হয়েছে। সেজন্য সেই বছর আপনি হয়তো রিটার্নও দাখিল করেছেন।

কিন্তু পরের অর্থ বছরে আপনার করযোগ্য আয় ৩০০,০০০ টাকা অতিক্রম করেনি এবং সেজন্য আপনি হয়তো রিটার্ন দাখিল করা থেকে বিরত থেকেছেন।

নিয়ম হলো, আপনি যদি একবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে রিটার্ন দাখিল করেন তাহলে পর পর তিনবার আপনার করযোগ্য আয় না থাকলেও আপনাকে রিটার্ন দাখিল করে যেতে হবে।

আপনি যদি এই নিয়ম না মানেন তাহলেই আপনাকে আয়কর আইন ভাঙার দায়ে জরিমানার মধ্যে পড়তে হবে।

এ অবস্থায়, কোন কারনে যদি আপনি কোন বছরে বা একাধিক বছরে আয়কর রিটার্ন দাখিল না করে থাকেন এবং এখন সেই বকেয়া আয় বছরের আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে চান তাহলে কি করবেন?

প্রথম কথা হলো, আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে কোন বাধা নেই।

আপনি বকেয়া যে কোন বছরের জন্য তা একাধিক বছরের জন্য হলেও আপনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।

এখন আপনি যেহেতু আয়কর আইন মানেননি তাই আপনাকে কিছু জরিমানা দিতে হবে রিটার্ন দাখিল করার সাথে। সেই জরিমানাসহ রিটার্ন দাখিল করলেই আপনি আবার নিয়মিত হয়ে গেলেন।

এখন প্রশ্ন হলো, এই জরিমানার পরিমান কতো?

উপযুক্ত কারন ছাড়া যদি কোন করদাতা আয়কর বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হন তাহলে ডিসিটি তার গত বছরের নির্ধারিত করের উপর ১০% সুদ ধার্য করতে পারেন। এবং এই সুদের পরিমান এক হাজার টাকার নিচে হবে না।

যদি তিনি এ কাজ করতেই থাকেন তাহলে প্রতিদিনের জন্য পঞ্চাশ টাকা হারে জরিমানা দিতে হবে।

তবে কোন করদাতা যদি আগে করযোগ্য না হয়ে থাকেন তালে তার জরিমানা পাচ হাজার টাকার বেশি হবে না।

আর যদি তার আয় করযোগ্য হয়ে থাকে তাহলে তিনি গত বছর যে কর দিয়েছিলেন তার ৫০% অথবা এক হাজার টাকা, এই দুই অংকের মধ্যে যেটা বেশি সেটা তাকে জরিমানা হিসেবে দিতে হবে।

এভাবে আপনি আপনার মোট জরিমানা হিসেব করে চালানের মাধ্যমে টাকা জমা দিয়ে এবং আপনার ঐ বছরের নির্ধারিত কর জমা দিয়ে রিটার্ন জমা দিতে পারেন।

বর্তমানে আয়কর রিটার্ন দাখিল করার ফর্ম আগের চেয়ে অনেক সংক্ষিপ্ত এবং সহজ করা হচ্ছে যাতে করে করদাতা ভয় না পান। জটিলতা ছাড়াই যেন করদাতা তার রিটার্ন দাখিল করতে পারেন সেই চিন্তা মাথায় রেখেই প্রতি বছর আয়কর ফর্ম আগের থেকে সহজতর করা হচ্ছে।

আমাদের সবারই নিয়মিত আয়কর রিটার্ন দাখিল করার ব্যাপারে আন্তরিক থাকতে হবে। এতে করে যেমন দেশের আইন মানা হবে অন্য দিকে জরিমানার হাত থেকেও বাচা যাবে।

  • লেখাটি blog.bdtax.com.bd-তে ১৩ মে ২০১৮ প্রকাশিত হয়।

You Might Also Like

error: Content is protected !!